জেলা পরিষদ, দিনাজপুর
০৪, নভেম্বর, ২০২৪ ১১:০১ AM

জেলা পরিষদ, দিনাজপুর

জেলা পরিষদ, দিনাজপুর ওয়েব সাইটটে আপনাকে স্বাগতম।

আর্থসামাজিক ও ভৌগলিক অবস্থা

জেলার পটভূমি

সাহিত্য ও সংস্কৃতির ঐতিহ্যমন্ডিত দিনাজপুরের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন ও সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ছোট নাগপুর, বিন্ধ্যা পর্বত প্রভৃতি লাখ লাখ বছরের প্রাচীন স্থানগুলোর মৃত্তিকার সমগোত্রীয় দিনাজপুরের মাটি। বহুকাল পূর্বে হিমালয় পর্বতের ভগ্নীরূপে জন্ম নেয়া বরেন্দ্র ভূমির হৃদয়-স্থানীয় স্থান দিনাজপুর। লোকশ্রুতি অনুযায়ী জনৈক দিনাজ অথবা দিনারাজ দিনাজপুর রাজপরিবারের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর নামানুসারেই রাজবাড়ীতে অবস্থিত মৌজার নাম হয় দিনাজপুর। পরবর্তীতে ব্রিটিশ শাসকরা ঘোড়াঘাট সরকার বাতিল করে নতুন জেলা গঠন করে এবং রাজার সম্মানে জেলার নামকরণ করে দিনাজপুর।

 

বাংলাদেশ ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর শাসনের সূচনায় সৃষ্ট আদি জেলা শহরগুলির অন্যতম দিনাজপুর। ইংরেজ সেনারা পলাশী যুদ্ধের আট বছর পর ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে এ এলাকা জয় করে। ফলে নবাবী শাসনের অবসানের সঙ্গে পতন হয় সাবেক রাজধানী ঘোড়াঘাট নগরের। তারপর থেকে গড়ে উঠতে শুরু করে দিনাজপুর শহর।

দিনাজপুর গেজেটিয়ারের মতে ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে জেলা শাসনের জন্য দিনাজপুরে স্বতন্ত্র স্থায়ী কালেক্টরেট স্থাপিত হয়। তার পূর্ব পর্যন্ত দিনাজপুর-রংপুর যুক্ত কালেক্টরেট ছিল। রাজসেরেস্তা থেকে নথিপত্র প্রত্যাহার করে জিলা স্কুলের পুরাতন ভবনটিতে (সম্প্রতি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে) কালেক্টর অফিস স্থাপিত হয়। জেলা স্কুল হওয়ার পূর্বে ভবনটি রাজকাচারী ছিল। তখন কালেক্টর ছিলেন মি. ম্যারিওয়েট; রাজা ছিলেন রাজবংশের নাবলক উত্তরাধিকারী রাধানাথ।

 

১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ সেনাপতি মিঃ কোট্রিল ঘোড়াঘাটের শেষ মুসলিম ফৌজদার করম আলী খানকে পরাজিত করে এই অঞ্চলে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠা করেন। এ অঞ্চলে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার্থে ইংরেজরা ১৭৮৬ সালে নতুন জেলা গঠন করে এবং ১৭৯৩ সালে দিনাজপুরে জেলার দপ্তর স্থাপন করে। দিনাজপুরের কালেক্টর মিঃ এইচ জে হ্যাচ (১৭৮৬-১৭৯৩ পর্যন্ত কালেক্টর ছিলেন) এর আমলে দিনাজপুরে প্রথম নিজস্ব কালেক্টরেট ভবন নির্মিত হয় বর্তমান বাহাদুর বাজারস্থ গোলকুঠি বাড়ীতে। জেলা কালেক্টরেট নির্মিত হওয়ায় এবং সেই সঙ্গে সুবিন্যস্ত শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তিত হওয়ায় আধুনিক জেলা শহরটির গড়ন শুরু হয় রাজাদের দেয়া কয়েকটি মৌজার উপর। রাজবাড়ী থেকে সমস্ত নথিপত্র প্রত্যাহার করে গোলকুঠি ভবনে আনা হয়। মুগল আমলের ঘোড়াঘাট নগর তখন সম্পূর্ণভাবে পরিত্যক্ত। দিনাজপুর শহর তখন জেলা শাসনের কেন্দ্র ও সবকিছুর কর্মস্থলে পরিণত হতে শুরু করে। ১৮৩৩ থেকে ১৮৭০ সাল পর্যন্ত দিনাজপুরের বিভিন্ন অংশ পূর্ণিয়া, রংপুর ও রাজশাহীর মধ্যে অন্তর্ভুক্তি ও বিচ্যুতি ঘটে।

 

১৮০০ হইতে ১৮০১ খ্রিস্টাব্দে দিনাজপুরের বড় বড় এষ্টেট পূর্ণিয়া, রংপুর এবং রাজশাহী জেলার সংগে যুক্ত করা হয়। ১৮৩৩ খ্রিস্টাব্দে আর একটি সুবিস্তৃত অংশ বগুড়া ও মালদহ জেলার সাথে যুক্ত করার পূর্ব পর্যন্ত আর কোন রদবদল করা হয়নি। ১৮৬৪-১৮৬৫ খ্রিস্টাব্দে খট্রা নামক একটি সুবিশাল পরগণাকে এ জেলা হতে ছেঁটে বগুড়া জেলার সাথে যুক্ত করা হয়। ১৮৬৮-১৮৭০ সালের দিকে এ জেলার একটি বৃহৎ অংশ বগুড়া ও মালদহ জেলায় যুক্ত হয়। ১৮৯৭-১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে এ জেলার দক্ষিণ অংশে অবস্থিত মহাদেবপুর থানা রাজশাহীতে স্থানান্তরিত হয়। পাকিস্তান-পূর্ব আমল পর্যন্ত আর কোন রদবদল হয়নি।

 

১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট রাজ্য ইংরেজ শাসিত ভারতের বুকে পাকিস্তান ও ভারত নামক দুটি আলাদা রাষ্ট আত্মপ্রকাশ করে। ঐ সময়ে রাডক্লিফ রোয়েদাদ অনুসারে এ জেলার দশটি থানা ভারতের পশ্চিম বাংলা প্রদেশের অন্তর্ভূক্ত হয় এবং পশ্চিম দিনাজপুর জেলা গঠন করে। অপরদিকে পশ্চিম বাংলার জলপাইগুড়ি জেলা হতে তেতুলিয়া, পঞ্চগড়, বোদা, দেবীগঞ্জ ও পাটগ্রাম থানা দিনাজপুরের সাথে যুক্ত হয়। পরবর্তী সময়ে পাকিস্তান সরকার শাসনকার্যের সুবিধার্থে পাটগ্রাম থানাটি রংপুরের সাথে এবং দিনাজপুরের দক্ষিণ অংশের ধামইর, পোরশা ও পত্নিতলা থানা তিনটি তৎকালীন রাজশাহীর নওগাঁ মহকুমার সাথে যুক্ত করে। সর্বশেষ ১৯৮৪ সালে দিনাজপুরের দুটি মহকুমা ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় আলাদা জেলার মর্যাদা লাভ করে।

 

প্রাগৈতিহাসিক দিনাজপুরঃ

সাহিত্য-সংস্কৃতির ঐতিহ্যমন্ডিত দিনাজপুরের ইতিহাস অত্যন্ত প্রাচীন এবং সমৃদ্ধ। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের ছোট নাগপুর, বিন্ধ্যা পর্বত প্রভৃতি লক্ষ লক্ষ বছরের প্রাচীন স্থানগুলির মাটির সমগোত্রীয় দিনাজপুরের মাটি। বহুকাল পূর্বে হিমালয় পর্বতের ভগ্নীরূপে জন্ম নেয়া বরেন্দ্র ভূমির হৃদয়-স্থানীয় স্থান দিনাজপুর।

চৈনিক ও ইউরোপীয় ভ্রমণকারীদের বিবরণীতে বৃহৎ ও সুনাব্য নদীরূপে বর্ণিত করতোয়া নদীর তীরে কোন এক অজ্ঞাত সময় থেকে এক উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠেছিল। করতোয়ার তীরে গড়ে উঠে বলে একে করতোয়া সভ্যতা হিসেবে অভিহিত করা যায়। অনুমিত হয়, মধ্যযুগে মহাস্থান, বানগড় এবং মোগল যুগে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটই ছিল এই সভ্যতার প্রধান নাগরিক কেন্দ্র। ইতিহাস খ্যাত পঞ্চনগরী দিনাজপুরেই অবস্থিত ছিল।

 

পাল ও সেন আমলে দিনাজপুরঃ

যমুনা-করতোয়ার অববাহিকায় অবস্থিত এ নগরীর বিভিন্ন ধ্বংসাবশেষগুলি চরকাই, বিরামপুর, চন্ডীপুর, গড়সিংলাই, দামোদরপুর ইত্যাদির ধ্বংসাবশেষ নামে পরিচিত। মৎস্যন্যায় যুগে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় করতোয়া নদীর পাড়ে এক উল্লেখযোগ্য বৌদ্ধ বিহার নির্মিত হয়। স্থাপত্য শৈলীর বিবেচনায় এটি বাংলাদেশে আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহারের মধ্যে তৃতীয় স্থানীয়। ১৯৬৮ সালে প্রথম বার এবং ১৯৭৩ সালে দ্বিতীয় বার খননের পর ৪১টি প্রকোষ্ঠসহ বহু ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়। এখানের অনেক প্রত্নদ্রব্য দিনাজপুর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। ৮ম শতকে গোড়াপত্তন হওয়া পাল বংশের ভ্রাম্যমাণ রাজধানীর বহু ধ্বংসাবশেষ দিনাজপুরের মাটিতে মিশে আছে। পাল রাজত্বকালে পার্বত্য কম্পোজ জাতির আক্রমণ এবং কৈবর্ত বিদ্রোহের ঘটনার সাথে জড়িয়ে আছে দিনাজপুর। সেন রাজত্বকালে নির্মিত অসংখ্য দেব-দেবীর প্রস্তরমূর্তি আবিষ্কৃত হয়েছে দিনাজপুরসহ বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়।

আফগান ও মুঘল আমলে দিনাজপুরঃ

লক্ষ্মণসেনকে বিতাড়িত করে বিজেতা বখতিয়ার খিলজী ১২০৪ সালে বরেন্দ্র ভূমি বিজয় করে দিনাজপুরের দেবকোটে মুসলিম রাজধানী স্থাপন করেন। ১২২০ সালে গৌঁড়ে স্থানান্তরিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত দেবকোর্টই ছিল বাংলার রাজধানী।

চেহেলগাজীগণ দিনাজপুরের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাজা গোপালের সময় ইসলামের বার্তা নিয়ে চেহেলগাজীদের আবির্ভাব হয়। ন্যায়ের স্বার্থে রাজা গোপালের সেনাদলের সাথে ভয়ানক যুদ্ধে মুজাহিদগণ শহীদ হয়েও ভক্তদের মনে মহান গাজীত্বের সম্মান লাভ করেন। গাজীগণ সংখ্যায় ৪০ জন হওয়ায় তাঁদের ৫৪ ফুট দীর্ঘ সমাধিস্থলটি চেহেলগাজীর মাজার নামে পরিচিত যা দিনাজপুর শহরের উত্তর উপকন্ঠে অবস্থিত। এছাড়া দিনাজপুরের গড়মল্লিকপুর এবং খানসামার দুহসুহ গ্রামে যথাক্রমে ৮৪ ফুট এবং ৪৮ ফুট দীর্ঘ দুটি মাজার আছে যা যথাক্রমে গঞ্জে শহীদ এবং চেহেলগাজী নামে পরিচিত।

দিল্লী শাসনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সুরক্ষায় ইলিয়াস শাহ্ কর্তৃক নির্মিত ঐতিহাসিক একডালা দুর্গের অবস্থানও ছিলো দিনাজপুরের মধ্যেই। হত্যার রাজনীতির মাধ্যমে গৌড়ীয় সুলতান গিয়াসউদ্দিন আযম শাহকে অপসারণ করে গৌড়ের মসনদে আরোহণকারী রাজা গণেশ দিনাজপুরের অধিবাসী ছিলেন। পরবর্তীতে গণেশ পুত্র যদু ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে জালালুদ্দীন নাম ধারণ করে গৌড়ের সিংহাসনে আরোহণ করেন।

গৌড়ীয় সুলতান বরবক শাহের সেনাপতি ইসমাইল গাজীর নেতৃত্বে আত্রাই নদীর তীরবর্তী মাহিসন্তোষ নামক স্থানে কামতারাজের সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ হয় এবং পরে কামতাপুর দুর্গ (দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে) বিজীত হয়। ঘোড়াঘাটে করতোয়া নদীর পশ্চিমতীরে ইসমাইল গাজী এক মুসলিম নগরীর গোড়াপত্তন করেন। পরবর্তী কালে ইহা বিখ্যাত ঘোড়াঘাট সরকার নামে পরিচিত হয়। জিন্দাপীর নামে অভিহিত ইসমাইল গাজী ও বহু আউলিয়ার মাজার ঘোড়াঘাটে বিদ্যমান।

১৪৬০ খ্রিস্টাব্দে সুলতান বরবক শাহ সম্পাদিত এবং চেহেলগাজীর মাজারে প্রাপ্ত একটি ফার্সী শিলালিপি থেকে জানা যায় দিনাজপুর শহরসহ উত্তরাংশের শাসনতান্ত্রিক এলাকার শাসনকর্তা নসরত উলুখ নসরত খাঁন চেহেলগাজী মাজারের পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করেন, যা বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন মসজিদ বলে চিহ্নিত। হোসেন শাহী আমলের বিভিন্ন মসজিদ ও ইসলাম প্রচারকের মাজার দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, দেবকোটসহ বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে। এছাড়া দিনাজপুরের বুকে শেরশাহী আমলের মসজিদ, সড়ক ও সেতু শূরবংশীয় অধিকারের প্রমাণ বহন করে।

মোগল আমলে বাংলা বিজয়ের পর সমগ্র বাংলাদেশকে ২৪টি সরকারে ভাগ করা হয়। এতে দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট, বরকাবাদ, তাজপুর এবং পিঞ্জরা নামের ৪টি সরকার অন্তর্ভুক্ত হয়। সবদিক বিবেচনায় বাংলার ঘোড়াঘাট শ্রেষ্ঠ সরকার ছিল। ঘোড়াঘাটের শেষ ফৌজদার ছিলেন ঐতিহাসিক গ্রন্থ মোজাফফরনামা রচয়িতা করম আলী খান। সে সময় মসজিদ ও মুসলিম নগরীতে পরিণত হয় মোগল আমলের ঘোড়াঘাট। বিখ্যাত সূরা মসজিদ ও আউলিয়াদের মাজারে ধন্য হয় ঘোড়াঘাট।

দিনাজপুর জেলা রংপুর বিভাগের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এ জেলার গড় উচ্চতা ১১২ ফুট থেকে ১২০ ফুট। ভৌগোলিকভাবে এই জেলা ২৫১০এবং  ২৬০৪উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৮০৫'' ও ৮৫২৮'' দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত। মোট ১৩ টি উপজেলা নিয়ে গঠিত এই জেলার আয়তন ৩৪৪৪.৩০ বর্গ কিলোমিটার। জেলার মোট জনসংখ্যা ৩৩,১৫,২৩৮ জন (২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী), যার মধ্যে পুরুষ ১৬,৬০,৯৯৭ জন এবং মহিলা ১৬,৫৪,২৪১ জন। উত্তর-দক্ষিণে লম্বালম্বিভাবে বিস্তৃত দিনাজপুর জেলার উত্তরে ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলা, দক্ষিণে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা, পূর্বে নীলফামারী ও রংপুর জেলা এবং পশ্চিমে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য।

 

এক নজরে দিনাজপুর জেলা

আয়তনঃ

,৪৪৪.৩০ ব:কিঃমিঃ (১৩২৯.৮৫ বঃ মাঃ)

লোক সংখ্যাঃ

৩৩,১৫,২৩৮ জন

(২০২২ সালের জনশুমারী অনুয়ায়ী)

পুরুষ

 ১৬,৬০,৯৯৭ জন।

মহিলা

১৬,৫৪,২৪১ জন।

তৃতীয় লিঙ্গ

১৬২

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার:

০.৯৮%

ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত জনসংখ্যা:

৫২,৯৩৯ জন।

উপজেলার সংখ্যাঃ

১৩ টি (বোচাগঞ্জ , বিরল, কাহারোল, বীরগঞ্জ,

দিনাজপুর সদর, খানসামা, চিরিরন্দর, ফুলবাড়ী,

পার্বতীপুর, বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট)

পৌরসভার সংখ্যাঃ

০৯টি

সিটি কর্পোরেশনঃ

নেই

ইউনিয়নের সংখ্যাঃ

১০৩ টি

গ্রামের সংখ্যাঃ

,১৩১টি

মৌজার সংখ্যাঃ

,৯২৬টি

থানাঃ

১৩ টি

হাট-বাজারঃ

২৭৩ টি

নদীঃ

১৯ টি

মোট পরিবারের (খানা) সংখ্যাঃ

,৩৭,০০২টি

প্রতি বর্গকিঃমিঃ-এ লোক সংখ্যার ঘনত্বঃ

৯৬৩ জন (প্রায়)

কৃষক পরিবারের সংখ্যাঃ

,৮০,৭৫৬ টি

ভূমিহীন কৃষক পরিবারের সংখ্যাঃ

,৪০,৩২৫ টি(৩০%)

ক্ষুদ্র কৃষক পরিবারঃ

৭৯,০৮৬ টি(১৭%)

প্রান্তিক কৃষক পরিবারঃ

,৭৪,২৭৯ টি(৩৬%)

মাঝারি কৃষক পরিবারঃ

৬৯,৩৮৭ টি (১৩%)

বড় কৃষক পরিবারঃ

১৭,৬৭৯ টি (৫%)

খাদ্য চাহিদাঃ

,৮৮,৫২৯ মেঃটন

মোট খাদ্যশষ্য উৎপাদনঃ

১৩,০৩,৯২৩মেঃ টন

উদ্বৃত্ত খাদ্যঃ

,,৪৪০০ মেঃটন

কৃষি শস্য ও ফলমূলঃ

 

প্রধান কৃষি শস্য

ধান, গম,ইক্ষু, পাট, আলু, সবজি, পিঁয়াজ, আদা, তৈলবীজ

প্রধান ফলমূল

লিচু, আম, কলা, কাঠাল, জাম, নারিকেল

বনভূমিঃ

 

মোট বনভূমিঃ

,৬৪১.২২হেক্টর

রিজার্ভ বনভূমিঃ

,৬৮৫.৪০হেক্টর

ভেস্টেড বনভূমিঃ

,৪৯৭.১৬হেক্টর

একোয়ার্ড বনভূমিঃ

৩৫২.৮৫হেক্টর

খাস বনভূমিঃ

১১৫.৮১হেক্টর

নার্সারীঃ

 

সরকারী নার্সারীঃ

৫টি

ব্যক্তিগত নার্সারীঃ

১৮৩ টি

উপজেলা নার্সারীঃ

১৯ টি

শিক্ষা সংক্রান্তঃ

 

শিক্ষার হার

৭৬.০৪ ( ২০২২ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী)

চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ঃ

১ টি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ঃ

১ টি

পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউটঃ

১ টি

টেক্সটাইল ইনষ্টিটিউটঃ

১ টি

আইন মহাবিদ্যালয়ঃ

১ টি

কমার্শিয়াল ইনষ্টিটিউটঃ

১ টি

সরকারী কলেজঃ

৩ টি

বেসরকারী কলেজঃ

৮৬ টি

মাদ্রাসাঃ

৩৫০ টি

পি.টি.আইঃ

১টি

সরকারী বিদ্যালয়ঃ

১০ টি

বেসরকারী বিদ্যালয়ঃ

৪০৬ টি

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ

৮৬০টি

রেজিস্টার্ড বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ

৮৩৫ টি

আনরেজি: বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ

১৩৬ টি

ভিটিআইঃ

২ টি

বিকেএসপিঃ

১ টি

সরকারী ভেটেরিনারী কলেজঃ

১ টি

হোমিও কলেজঃ

১ টি

বি এড কলেজঃ

১ টি

ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটঃ

১ টি

যুব প্রশিক্ষন কেন্দ্রঃ

১ টি

যোগাযোগ ব্যবস্থা

 

পাকা রাস্তাঃ

৬৯১ কিঃমিঃ

আধা পাকা রাস্তাঃ

২৯৫ কিঃমিঃ

কাঁচা রাস্তাঃ

,৭২০কিঃমিঃ

রেলপথঃ

১৪২.০২কিঃমিঃ

রেলষ্টেশনঃ

১৮ টি

ফসলাধীন জমিঃ

 

আবাদকৃত জমিঃ

,৮৮,৪৩২হেক্টর

নীটফসলাধীন জমিঃ

,৮৮,৪৩২হেক্টর

এক ফসলাধীন জমিঃ

১৩,৮১৮হেক্টর

দুই ফসলাধীন জমিঃ

,১৭,৪৭৭হেক্টর

তিনফসলাধীন জমিঃ

৫৩,৩৬৭হেক্টর

তিন এর অধিক ফসলাধীন জমিঃ

১৭০ হেক্টর

মোট ফসলাধীন জমিঃ

,০৯,৫৫৩হেক্টর

ফসলের নিবিরতার হারঃ

২১৪%

উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রাঃ

,০০,৪৬০.০০০মেঃ টন

রোপা আমনের আবাদের লক্ষ্যমাত্রাঃ

,৪৬,০০০হেক্টর

ক)উফশী-

,১৭,০০০হেক্টর

খ)স্থানীয়-

২৯,০০০হেক্টর

আবাদ অর্জনঃ

,৫০,৯২০হেক্টর

চাষযোগ্য পতিত জমির পরিমাণঃ

৬৮৫ হেক্টর

ভূমি সংক্রান্ত তথ্যঃ

 

পৌর এলাকায় জমির পরিমানঃ

,০৪৮ একর

ভূমিহীনঃ

৩০%

প্রান্তিক কৃষকঃ

৩৬%

মাঝারী কৃষকঃ

১৩%

বড় কৃষকঃ

৫%

মাথাপিছু আবাদী জমিঃ

০.০৫ শতাংশ

ইউনিয়ন ভূমি অফিসঃ

১০৫ টি

উপজেলা ভূমি অফিসঃ

১৩ টি

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও লোকসংখ্যাঃ

 

মসজিদঃ

,০৩৮ টি

মন্দিরঃ

৯০৪ টি

গীর্জাঃ

৯৬ টি

প্যাগোডাঃ

১৮ টি

মুসলমানঃ

(৭৮.৫৬%)

হিন্দুঃ

(১৯.৪৯%)

খৃষ্টানঃ

(১.৩৯%)

বৌদ্ধঃ

(০.৩%)

অন্যান্যঃ

(০.৫৩%)

পেশাঃ

 

কৃষিঃ

৪২.৮৫%

কৃষি শ্রমিকঃ

২৯.১৯%

শ্রমিকঃ

২.৪৮%

ব্যবসাঃ

১০.২০%

পরিবহন শ্রমিকঃ

১.৬৭%

চাকুরীঃ

৫.৫৮%

শিল্প ও খনিজঃ

 

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রঃ

১ টি

কঠিন শিলাপ্রকল্পঃ

১টি(মধ্যপাড়া)

কয়লা খনি প্রকল্পঃ

১ টি (বড়পুকুরিয়া)

লোকমোটিভ কারখানাঃ

১ টি(পার্বতীপুর)

চিনিকলঃ

১ টি(সেতাবগঞ্জসুগার মিলসলিঃ)

টেক্সটাইল মিলঃ

১ টি

অটোমেটিক চাউল কলঃ

৬১টি

সেমিঅটোমেটিক চাউল কলঃ

৩৫টি

চাতাল চাউল কলঃ

১৮৬১টি

মেজর চাউল কলঃ

১২টি

অটোমেটিক ফ্লাওয়ারমিলঃ

৬টি

হিমাগারঃ

৯টি

জুটমিলঃ

১টি

লজেন ফ্যাক্টরীঃ

২টি

গার্মেণ্টসঃ

১টি

মিশ্রসার ফ্যাক্টরীঃ

১টি

পোলট্রি হ্যাচারীঃ

৪টি

স্বাস্থ্য সংক্রান্তঃ

 

মোট উপজেলা হেলথ কমপেক্সঃ

১৩

মোট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য উপকেন্দ্রঃ

১০৫

মোট বেসরকারী ক্লিনিকঃ

২৮

বন্দর ও অন্যান্যঃ

 

স্থল বন্দরঃ

২ টি (হিলিহাকিমপুর ওবিরল )

তুলা উন্নয়ন বোর্ডঃ

১ টি

ব্যাংকঃ

১৬৮ টি

এনজিওর সংখ্যাঃ

৭৬ টি(তালিকাভূক্ত)

আবাসনঃ

৪০ টি

আশ্রয়নঃ

৫২ টি

আদর্শগ্রামঃ

২৯ টি

আন্ত:উপজেলা খেয়াঘাটঃ

২ টি

নির্বাচনী এলাকাঃ

৬ টি ।

মোট ভোটার সংখ্যাঃ

১৮,৫৬,৩৪৫ জন

      পুরুষ

,২২,৮৮১ জন

     মহিলা

,৩৩,৪৬৪ জন

প্রধান রপ্তানী পণ্য

ধান, চাল, গম, আম, লিচু, কাঠাল, গুড়, ইক্ষু

দর্শনীয় স্থান

কান্তজীউ মন্দির, স্বপ্নপুরী, রামসাগর, সীতাকোট বিহার,

সিংড়া ফরেস্ট, নয়াবাদ মসজিদ, শুরা মসজিদ ইত্যাদি বিখ্যাত।

 

sadar.JPG

 

 

দিনাজপুরের লিচু

দিনাজপুর জেলা লিচুর জন্য বিখ্যাত। এ জেলায় বাংলাদেশের সেরা লিচু উৎপন্ন হয়। এ জেলায় বিভিন্ন জাতের লিচু উৎপন্ন হয়, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- মাদ্রাজী, বোম্বাই, বেদানা ও চায়না-৩। নিম্নে দিনাজপুর জেলার লিচু চাষ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত তথ্য উপস্থাপন করা হলো।

দিনাজপুর জেলায় লিচু আবাদের তথ্য

লিচু চাষের আওতায মোট জমি  ১৫০০ হেঃ  ( ৩৭০৫ একর)

মোট লিচু গাছের সংখ্যা 

গড়ে ১ শতক জমিতে ১টি গাছ

গড়ে ১হেঃ জমিতে ২৪৭টি গাছ

১৫০০ হেঃ জমিতে ৩,৭০,৫০০ টি গাছ

লিচুর ফলনঃ-

 গড়ে প্রতি গাছে ৪০০০ টি লিচু ( অন ইয়ার )

১৫০০ হেঃ (৩,৭০,৫০০ গাছ) ফলন ১৪৮, ২০,০০০ টি

 

লিচুর মূল্যঃ-

(২০১২ ইং )  

 

ক্রমিক নং 

     জাত 

 আগাম মুল্য (প্রতি ১০০টির) 

নাবী মূল্য (প্রতি ১০০টির ) 

মন্তব্য

১।

মাদ্রাজী

২০০/-

৪০০/-

আগাম

২।

বোম্বাই

২০০/-

৪০০/-

মধ্যম

৩।

বেদানা

৭০০/-

১১০০/-

মধ্যম নাবী

৪।

চায়না - ৩

৬০০/-

১১০০/-

 নাবী

২০২২ ইং সালে ১৪৮,২০,০০০ লিচুর গড় মূল্য = ৩৭০ কোটি টাকা

উৎপাদনে / পরিচর্যা খরচ:

সার , নিড়ানী , সেচ ও বালাই নাশক এর একত্রে খরচ (গড় খরচ ) ৩৫,০০০/-

সব খরচ বাদে এক একরে গড়ে লাভ ৩,০০,০০০/- টাকা

 

জাত ভিত্তিক লিচুর উৎপাদনঃ-

মাদ্রাজী = ৩০%

বোম্বাই =৩৯%

বেদানা = ৫%

চায়না =২৫ %

কাঠালী বোম্বাই ১%

 

স্থান ভেদে লিচুর ব্যবহার

মোট উৎপাদনের প্রায় ২০% জেলায় ব্যবহার হয়

বাকী ৮০% দেশের বিভিন্ন স্থানে যায়                                                                                          

লিচুর ভাল ফলন পেতে সময় ভিত্তিক করনীয়

সময় 

করনীয় কাজ 

           বাস্তবায়ন পদ্ধতি

 জুন - জুলাই

১।  ফল সঙগ্রহের পরপর ডাল ছাটাই / কর্তন/ গুটি কলম করা ।

 

২। জলাবদ্ধতা না হতে দেয়া।

১। ফল সংগ্রহের পরপর ডালের ১৫ - ২০ ভাগ ডাল ছাঁটাই করা । সরাসরি ছাঁটাই না করে গুটি কলম করলে ডাল ছাঁটাই এর কাজ করা হয়।

২। গোড়ায পানি যেন না জমে তার ব্যবস্থা নেয়া।

 

আগষ্ট - সেপ্টেম্বর ও মার্চ - এপ্রিল

১। সার প্রয়োগ

 

২। ডলোচুন ব্যবহার

 

৩। মাকড় দমন 

১। অতি ফলন্ত গাছের গোড়ায় ৫০ কেজি কম্পোষ্ট , ২ কেজি পচাখৈল, ২কেজি  ইউরিয়া , ১ কেজি টিএসপি, এবং .৫০০ গ্রাম্এমওপি এবং .৫০০ গ্রাম জিপসাম গাছের গোড়া থেকে কমপক্ষে ৩/৪ ফুট দুরে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া।

২। প্রতি গাছের গোড়ায় ১০০ গ্রাম ডলোচুন গ্রযোগ করা।

৩। গাছের পাতা বাদামী রঙ এর হয়ে কোকড়ানো এই ডাল/ পাতা অপসারন করে সালফার জাতীয় মাকড় নাশক ৭দিন পরপর ২বার প্রয়োগ করা।  

অক্টোবর - নভেম্বর

১। মুকুল আসা নিশ্চিত করন।

১। মুকুল আসা নিশ্চিত করনে পিজিআর / পসল উজ্জিবন (হরমন ) প্লনোকিক্স / ইথরেল/ বেফালন আনুমোদিত মাত্রায় ২ মাসে ২বার ডাল ও পাতায় স্প্রে করা।

২। ভাল ফলন  রোধে সেচ বন্ধ রাখা । 

ডিসেম্বর

১। আগাছা নিযন্ত্রন

২। মাকড় দমন

১। গোড়া পরিস্কার ও কোপানো ।

২। ২/৩ বার মাকড় নাশক ( থিওভিট / রনভিট / কুমুলাক্স )  স্প্রে করা। 

জানুয়ারী - ফেব্রয়ারী

১। মুকুর বের হওয়া থেকে ফুল ফোটা পর্যন্ত।

১। এক্রোবেট এম জেট / কনট্রাফ ছত্রাকনাশক পরিমিত মাত্রায স্প্রে করা । এনথাকনোজ রোগ দমনের জন্য এগুলি ছাড়া  আদ্র ও কুয়াশা যুক্ত আবহাওয়ায় টপসিন / ট্রিল্ট / ব্যাভিষ্টিন সপ্তাহে ২ বার স্প্রে করা ।

মার্চ- এপ্রিল

ফল ও গাছের অবস্থা সতেজ করার জন্য।

১। অনুখাদ্য ( ভস্ক্রল সুপার / ওকোজিম / ক্রপপ্লাস ) এই জাতীয দ্রব্যাদি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা্

২। কচি ফল অবস্থায় চক পাউডার ২ গ্রাম ও বোরিক এসিড ২ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিযে স্প্রে করা।

৩। সাইপার মেথ্রিন জাতীয় কীটনাশক ২ বার স্প্রে করা।

মে

১। ফলের অবস্থা পরিবর্তন করার জন্য ।

১। ধারাবাহিক ভাবে সেচ দেয়া।

২। ফল ছিদ্র কারী পোকা দমনে ডায়জিনন / লেবাসিড/ সুমিথিযন স্প্রে করা । 

দিনাজপুর জেলায প্রধান প্রধান উৎপাদন এলাকা

সদরঃ- 

          ১। কসবা

          ২। সৈয়দপুর

          ৩। মাসিমপুর

          ৪। মাহমুদপুর

          ৫। নশিপুর

          ৬। জযদেবপুর

বিরলঃ-

          ১। মাধববাটি

          ২। রসুর শাহ পুর

          ৩। রানী পুকুর

          ৪। মংগলপুর

          ৫। মাটিআন দিঘী

          ৬। আজিমপুর

          ৭। লক্ষীপুর

          ৮। জগতপুর

          ৯। রাজুরিয়া

বীরগঞ্জঃ-

          ১। চাকাই

          ২। কল্যানী

          ৩। পাল্টাপুর

          ৪। ধূলা উড়ি

          ৫। মরিচা

          ৬। শিবরামপুর

চিরিরবন্দরঃ-

          ১। গলাহার

          ২। আরাজি গলাহার

          ৩। কাদরা

          ৪। কৃষনপুর

          ৫। জয়

বিরামপুরঃ-

          ১। শিমুলতলী

          ২। দূর্গাপুর

          ৩। মামুদপুর

          ৪। মির্জাপুর

 

লিচু ক্রয় বিক্রয় স্থানঃ-

          ১। কালিতলা , সদর

          ২। মাধববাটি , বিরল

          ৩। মাদারগঞ্জ হাট , চিরির বন্দর

          ৪। বীরগঞ্জহাট , বীরগঞ্জ

          ৫। মাসিমপুর, পুলহাট , দিনাজপুর সদর ।

 

দিনাজপুরের সুগন্ধি চাল

দিনাজপুর জেলার সুগন্ধি ধান/চাল উৎপাদন বিষয়ক তথ্য
সুগন্ধি ধান/চাল উৎপাদনে দিনাজপুর জেলা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। এ জেলায় নানাজাতের সুগন্ধি ধান জন্মে। তন্মধ্যে ব্রিধান-৩৪, কাটারী, জিরা কাটারী (চিনি গুড়া), ফিলিপিন কাটারী, চল্লিশাজিরা, বাদশা ভোগ, কালোজিরা, জটা কাটারী, চিনি কাটারী, বেগুন বিচি ও ব্রিধান-৫০ উল্লেখযোগ্য। একমাত্র ব্রিধান-৫০ রবি/বোরো মৌসুমে আবাদ হয়। অন্যান্য জাতের সুগন্ধি ধানগুলোর অধিকাংশ খরিপ-২/রোপা আমন মৌসুমে আবাদ হয়। আবাদকৃত জমির পরিমাণ প্রায় ৪০৭৬৫ হেক্টর এবং মোট চাল উৎপাদন প্রায় ৮৫৪০৬ মেঃ টন। সুগন্ধি চাল গুলোর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এগুলো খেতে সুস্বাদু ও সুগন্ধ ছড়ায়। এগুলি বিভিন্ন জাতের। এগুলির কোনটা খাটো, কোনটা লম্বা, কোনটা চিকন, আবার কোনটা মোটা ও গোলাকৃতি।

 

 

 



প্রশাসক
জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম
জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম
বিস্তারিত
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা
জনাব মোঃ মোখলেছুর রহমান
জনাব মোঃ মোখলেছুর রহমান
বিস্তারিত
ওয়েব এডমিন